৯ জন নিয়ে বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে পিএসজি
আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের উত্তেজনাপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখকে ২–০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে গেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
ম্যাচটি শুধু স্কোরলাইনের জন্য নয়, বরং মাঠে ঘটনার ঘনঘটার জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ম্যাচের শেষ দিকে মাত্র ৯ জন নিয়ে খেলেও জয় তুলে নেয় পিএসজি।
প্রথমার্ধে গোলশূন্যভাবে শেষ করে দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে হোয়াও নেভেসের পাস থেকে নিচু শটে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন দেজিরে দুয়ে। এরপর যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে আশরাফ হাকিমির পাস থেকে গোল করেন ওসমান দেম্বেলে।
তবে ম্যাচের উত্তেজনা চরমে ওঠে শেষ দশ মিনিটে। ৮২ মিনিটে বায়ার্নের মিডফিল্ডার লিও গোর্তেকাকে ভয়ঙ্কর ট্যাকল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পিএসজি ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচো। এরপর যোগ করা সময়ের ২ মিনিটে বায়ার্নের রাফায়েল গুয়েরেইরোকে কনুই মারায় লাল কার্ড দেখেন লুকাস হার্নান্দেজ।
চোটের দুঃসংবাদও পেয়েছে বায়ার্ন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিএসজির গোলকিপার দোন্নারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষে বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেলে গুরুতর চোট পান জামাল মুসিয়ালা। মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রেচারে করে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, তাঁকে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।
ম্যাচ শুরুর আগে লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতার ভাইয়ের মৃত্যুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই দল এক মিনিট নীরবতা পালন করে।
প্রথমার্ধে গোল না পেলেও বায়ার্ন গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারের অসাধারণ কিছু সেভ রক্ষা করে দলকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি আক্রমণে আরও ধারালো হয়ে ওঠে। দেম্বেলের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অন্যদিকে বায়ার্নের হ্যারি কেইনের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
বায়ার্নের ফরোয়ার্ড টমাস মুলারের জন্য এটাই ছিল শেষ ম্যাচ। তাঁর বিদায় ম্যাচটি হার দিয়ে রঙ হারালেও, ম্যাচজুড়ে অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বে ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ।
সেমিফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ এখন রিয়াল মাদ্রিদ। ফুটবল ভক্তদের জন্য আরও একটি হাইভোল্টেজ লড়াই অপেক্ষা করছে। Match Highlight