জাতীয় দলের হয়ে গোল করা সব ফুটবলারের কাছে গর্বের বিষয়। কেউ কেউ জাতীয় দলের হয়ে গোল করাকে শুধু স্বপ্ন নয়, অভ্যাসে পরিণত করেছেন। এমনই কিছু ফুটবলারের নাম উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায়। শীর্ষে আছেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, তাঁর ঠিক পেছনে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক ফুটবলের শীর্ষ ১০ গোলদাতাকে:
১. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)
ম্যাচ: ২২১ | গোল: ১৩৮
চার বছর ধরে শীর্ষে থাকা রোনালদো এখনো জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত গোল করে চলেছেন। ফুটবল ছাড়ার আগে আরও কিছু রেকর্ড গড়ার সুযোগ আছে তাঁর।
২. লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
ম্যাচ: ১৯৩ | গোল: ১১২
বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও তাঁর অর্জন অনন্য। সম্ভবত ২০২৬ বিশ্বকাপই হবে মেসির শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট।
ম্যাচ: ১৪৮ | গোল: ১০৮
একসময় দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন আলী দাইয়ি। ২০২১ সালে তাঁর রেকর্ড ভেঙেছিলেন রোনালদো।
ম্যাচ: ১৫৫ | গোল: ৯৫
ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাম। সাম্প্রতিক সময়ে অবসর ভেঙে ফিরেছেন, লক্ষ্য ১০০ গোল—যেটা এখনো সম্ভব।
৫. রোমেলু লুকাকু (বেলজিয়াম) ও মোখতার দাহারি (মালয়েশিয়া)
গোল: ৮৯ করে যৌথভাবে পঞ্চম
লুকাকু খেলেছেন ১২৪ ম্যাচ, আর প্রয়াত দাহারির লেগেছে ১৪২ ম্যাচ। লুকাকুর সামনে এখনো সুযোগ আছে আরও ওপরে যাওয়ার।
৬. আলী মাবখুত (আমিরাত) ও রবার্ট লেভানডফস্কি (পোল্যান্ড)
গোল: ৮৫ করে যৌথভাবে ষষ্ঠ
উভয়েই এখনো সক্রিয় ফুটবলার। সামনের দিনগুলোতে তাঁদের র্যাংকিং বদলাতে পারে।
৭. ফেরেঙ্ক পুসকাস (হাঙ্গেরি)
ম্যাচ: ৮৫ | গোল: ৮৪
ম্যাচপ্রতি গোলের হারে তিনিই সেরা (০.৯৯)। অনন্য দক্ষতার এই কিংবদন্তি যুগ যুগ ধরে স্মরণীয়।
৮. গডফ্রে চিতালু (জাম্বিয়া) ও নেইমার (ব্রাজিল)
গোল: ৭৯ করে যৌথভাবে অষ্টম
নেইমার এখনো খেলে চলেছেন। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে পেলের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
ম্যাচ: ১৩৭ | গোল: ৭৮
১৯৭৬–১৯৯০ পর্যন্ত ইরাকের হয়ে খেলে নিজেকে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত।
১০. কুনিশিগে কামামোতো (জাপান) ও বাশার আবদুল্লাহ (কুয়েত)
গোল: ৭৫ করে যৌথভাবে দশম
কামামোতো ৭৬ ম্যাচে, আর বাশার ১৩৪ ম্যাচে এই গোলসংখ্যা করেছেন। ম্যাচপ্রতি গোলের হারে কামামোতো অনন্য।
রোনালদো ও মেসির মতো ফুটবল কিংবদন্তিদের পাশাপাশি এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক কিংবদন্তিও জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়। ভবিষ্যতে কাকে দেখা যাবে শীর্ষে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।