এই প্রসঙ্গে হেডিংলের পিচ প্রস্তুতকারক রিচার্ড রবিনসন মুখ খুলেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এমন একটি উইকেট তৈরি করেছেন যাতে ম্যাচ পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়ায়। তাঁর কথায়, “আমি চাই না ম্যাচ তিন দিনে শেষ হয়ে যাক। টেস্টের সময় আবহাওয়া গরম থাকবে। ফলে উইকেটে কিছুটা আর্দ্রতা থাকবে। তবে খেলা যত এগোবে, তত এই আর্দ্রতা কমে যাবে।”
ম্যাচ শুরুর তিন-চার দিন আগে উইকেটের উপর ঘাস দেখা গেলেও রবিনসনের মতে, সেই ঘাস পুরোপুরি থাকবে না। তিনি বলেন, “তাপমাত্রা বেশি থাকায় আমরা এখন পিচে বেশি জল দিচ্ছি। তাই ঘাস রাখা হয়েছে, তবে ম্যাচের সময় ঘাস ছেঁটে ফেলা হবে। পিচ যাতে অতটা দ্রুত ভেঙে না পড়ে, সেটাই লক্ষ্য। আমি এমন পিচ চাই যেখানে ব্যাট ও বলের মধ্যে উপভোগ্য লড়াই হবে এবং ম্যাচ পাঁচ দিন ধরে চলবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ম্যাচের শুরুর দিকে পেসাররা সুবিধা পাবে। পরে পিচ আরও পাটা হবে এবং ব্যাট করা সহজ হয়ে উঠবে। প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানের স্কোর যথেষ্ট ভালো। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করা আরও সহজ হবে। তবে চতুর্থ ইনিংসে পিচে স্পিনারদের জন্য সাহায্য থাকবে।”
ইংল্যান্ডের পিচ ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভারতীয় দল সিরিজ শুরুর ১৪ দিন আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। ১০ দিনের একটি অনুশীলন শিবির করেছে তারা, যেখানে নিজেদের মধ্যে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। পরিকল্পনা একটাই—প্রস্তুত হয়ে পুরো মনোযোগ দিয়ে সিরিজে নামা।
তবে এবার ভারতের টেস্ট দল কিছুটা তরুণ। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলি এই সফরে নেই। নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরেরও এটাই প্রথম বিদেশ সফর দলের সঙ্গে। ফলে বলা চলে, একেবারে নতুন চেহারার ভারত নামছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এখন দেখার বিষয়, শুভমন গিল ও তাঁর তরুণ দল কেমন শুরু করেন এই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে।