পিএসজির দুরন্ত পারফরম্যান্সে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৭৭ হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে স্প্যানিশ জায়ান্টদের ৪-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল লুইস এনরিকের দল। গ্যালারি সাদা জার্সিতে ভরা হলেও ম্যাচ শেষে করতালি গেছে পিএসজির দিকেই।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল, দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে গনসালো রামোসের গোলে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা ব্যবধান বাড়ায় ৪-০ তে। এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ আঁ এবং ফ্রেঞ্চ কাপজয়ী পিএসজি এখন ক্লাব বিশ্বকাপেও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে এক কদম দূরে।
৬ মিনিটেই শুরু: রাউল আসেনসিওর ভুলে উসমান দেম্বেলের অ্যাটাক থেকে ফাবিয়ান রুইজ গোল করেন। ৯ মিনিটে বিস্ময়: রুডিগারের ব্যর্থ নিয়ন্ত্রণে দেম্বেলের নিচু শটে দ্বিতীয় গোল। ২৪ মিনিটে তৃতীয় গোল: আশরাফ হাকিমির দারুণ পাসে রুইজের দ্বিতীয় গোল। ৮৭ মিনিটে শেষ আঘাত: বদলি ব্রাডলি বারকোলার পাস থেকে গোল করেন গনসালো রামোস। ম্যাচে পিএসজির আরও একাধিক গোলের সুযোগ ছিল, একবার অফসাইডে বাতিলও হয় একটি গোল। প্রথমার্ধে কাভারাস্কাইয়ার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
চোটের কারণে সেন্টারব্যাক ডিন হাউসেন ও ডানপ্রান্তের ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে না পাওয়ার ফল রক্ষণভাগে স্পষ্ট ছিল। বেলিংহাম ও ভিনিসিয়ুসকে ৬৪ ও ৬৫ মিনিটে তুলে নেওয়ার পর রিয়ালের আর কিছুই বলার ছিল না। ব্যর্থতার দিনে কিলিয়ান এমবাপ্পেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এই ম্যাচই ছিল রিয়ালের হয়ে লুকা মদরিচের শেষ ম্যাচ। ম্যাচ শেষে তিনি বিদায় জানান ক্লাবকে।
পিএসজি কোচ এনরিকের প্রতিক্রিয়া: “আমরা একটি বিশেষ মৌসুম পার করছি। চেলসির বিরুদ্ধেও একই ফোকাস নিয়ে মাঠে নামব,” ম্যাচ শেষে বলেন এনরিক। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসোর আত্মসমর্পণ: “এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা নিজের মান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তবে বিরতির পর থেকে রিয়ালে নতুন যুগ শুরু হবে,” বলেন আলোনসো।
ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে পিএসজি, যেখানে এবার ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে নামবে ফরাসি ক্লাবটি। যদি তারা এই শিরোপাও জেতে, তাহলে চলতি মৌসুমে অংশ নেওয়া প্রতিটি টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরল রেকর্ড গড়বে।
ম্যাচের হাইলাইটস: