হোয়াও পেদ্রোর জোড়া গোলে ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি
চেলসির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঝলসে উঠলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হোয়াও পেদ্রো। মাত্র সাত দিন আগে ব্রাইটন থেকে দলে যোগ দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নাম লেখানো এই তরুণ দ্বিতীয় ম্যাচেই করলেন বাজিমাত। তার জোড়া গোলেই ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে চেলসি।
২৩ বছর বয়সী পেদ্রোর জন্য ম্যাচটি ছিল বিশেষ। কারণ, এই ফ্লুমিনেন্সই তার শৈশবের ক্লাব। পালমেইরাসের বিপক্ষে বদলি নেমে অভিষেকের পর এই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন তিনি।
মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের শুরু থেকেই জমজমাট লড়াই উপহার দেয় দু’দল। কিন্তু ১৮ মিনিটে বাঁ পাশ থেকে নিখুঁত শটে চেলসিকে এগিয়ে দেন পেদ্রো। গোলরক্ষক ফাবিও ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি বলটি। তবে গোল করে উদ্যাপন করেননি তিনি, পুরনো ক্লাবের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে।
ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া ফ্লুমিনেন্স একাধিকবার সুযোগ তৈরি করলেও বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ৩৬ মিনিটে পাওয়া একটি পেনাল্টি ভিএআরের সাহায্যে বাতিল হয়। বিরতির পরও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে, কিন্তু ৫৬ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে একক প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো।
ফ্লুমিনেন্স এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। টানা ১৩তমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাব। ফ্লুমিনেন্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাদের স্বপ্নযাত্রা।
এর আগে চেলসি ২০১২ ও ২০২১ সালে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল। প্রথমবার রানার্সআপ হলেও দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবারের ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ হবে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার সেমিফাইনালের জয়ী দল।
ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বলেন, “এটা আমাদের জন্য অসাধারণ অর্জন। লিগ ও কনফারেন্স লিগের পর এখন ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল—আমরা মৌসুমের শেষ ম্যাচে পৌঁছে গেছি। আশা করছি, ট্রফিটাও নিয়ে ফিরতে পারব।”