এজবাস্টনে ইতিহাস গড়ে সিরিজে সমতা ফেরাল শুভমনেরা
বার্মিংহ্যামে ভারত লিখল নতুন ইতিহাস—প্রথমবারের মতো এজবাস্টনে টেস্ট ম্যাচ জিতে নিল দলটি। এই স্মরণীয় জয়ের নায়ক শুভমন গিলের ব্যাটিং ও বাংলার পেসার আকাশদীপ। বুমরাহ না থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় বোলিং আক্রমণ ছিল যথেষ্ট কার্যকর, যার প্রমাণ মিলল ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরানোর মধ্য দিয়ে।
রবিবার বৃষ্টির কারণে দেরিতে খেলা শুরু হলেও গিলের মুখে হাসি ফোটে দিনের শেষে। আকাশদীপের দারুণ বোলিং এবং কার্যকর দলগত পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডের দুর্গ ধ্বংস হয়। সিরিজ এখন সমতায়, পরবর্তী লড়াই ঐতিহাসিক লর্ডসে।
চতুর্থ দিনে ৪৩০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। তবে ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠেছিল, আরও আগে ইনিংস ডিক্লেয়ার করলে হয়তো বাড়তি উইকেট মিলত। এই সিদ্ধান্তে গম্ভীরও খানিকটা বিরক্ত ছিলেন। তবে আকাশদীপ-সিরাজের দাপটে সব সমালোচনার জবাব দিয়ে দিল ভারতীয় বোলিং ইউনিট।
খেলা শুরু হওয়ার পর আকাশদীপ প্রথমেই ফেরান অলি পোপকে, এরপর তুলে নেন হ্যারি ব্রুকের উইকেট। ইংল্যান্ড তখন চাপে, তবে স্টোকস ও জেমি স্মিথ ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তাদের ৭০ রানের জুটি ভারতীয় শিবিরে চাপ তৈরি করছিল। শুভমনের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল – কেন টানা স্পিনারদের দিয়ে বল করানো হচ্ছে?
ঠিক তখনই ব্রেকথ্রু আসে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাত ধরে। মধ্যাহ্নভোজের ঠিক আগে স্টোকস এলবিডব্লিউ হন। এরপর স্মিথ একটু ঝুঁকি নিয়ে আক্রমণে যান, আকাশদীপকে দুটি ছয় মারেন, তবে তৃতীয় শর্ট বলে ভুল করেন। স্লোয়ার ডেলিভারিতে তিনি ক্যাচ তুলে দেন ওয়াশিংটনের হাতে। সেখানেই ইংল্যান্ডের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
শেষ উইকেট নিতে অতিরিক্ত আধ ঘণ্টা সময় নিলেও ভারতের জয়ে কোনও বাধা ছিল না। টেলএন্ডাররা কিছু রান করলেও ম্যাচে তার প্রভাব পড়েনি।
এই ম্যাচে আকাশদীপের দুরন্ত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করল যে, তিনি লর্ডসেও একাদশে থাকবেন। সিরাজ ও ফিট বুমরাহও থাকবেন তাঁর সঙ্গে। এক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ বাদ পড়তে পারেন, যিনি এই টেস্টে মাত্র একটি উইকেট পেয়েছেন। যদিও গম্ভীরের পছন্দের তালিকায় প্রসিদ্ধ থাকলেও দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
এজবাস্টনের ঐতিহাসিক এই জয়ের পর, এখন নজর লর্ডসের দিকে—সিরিজ জয়ের জন্য দুই দলই এখন শূন্য থেকে শুরু করবে লড়াই।