পান্তের ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিতে ইতিহাস গড়ল ভারত, হেডিংলিতে চতুর্থ দিনে রোমাঞ্চের ছোঁয়া
২০২৫ সালের ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টে হেডিংলির চতুর্থ দিনটি রীতিমতো ভারতের জন্য এক রোমাঞ্চকর অধ্যায় হয়ে উঠল। সেই দিনের মূল নায়ক—ঋষভ পান্ত। উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে তিনি যা করে দেখালেন, তা শুধু পরিসংখ্যান নয়, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানের সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও থামেননি পান্ত। এদিন তিনি খেলেন ১১৮ রানের এক অনবদ্য ইনিংস, মাত্র ১৪০ বলে ১৫টি চারে ও ৩টি ছয়ের মারে। এই ইনিংসের মাধ্যমে পান্ত হয়ে গেলেন ভারতের ইতিহাসে প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটার, যিনি একই টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে কেবল জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারই এমন কীর্তি গড়েছিলেন, ২০০১ সালে।
চতুর্থ দিন ভারত শুরু করেছিল ৯০/২ স্কোর নিয়ে। সেখান থেকেই কেএল রাহুল ও ঋষভ পান্ত মিলে গড়েন ১৯৫ রানের এক দুর্দান্ত জুটি। রাহুলও খেলেন অনবদ্য ১৩৭ রানের ইনিংস। এই পার্টনারশিপের উপর ভর করেই ভারত ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড় করায় ৩৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য।
পান্তের ব্যাটিং শুধু শটের ঝলকে নয়, ছিল সাহসিকতা, কৌশল এবং ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের নিখুঁত প্রদর্শনী। সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী একসময় বলেছিলেন, “লোকজন ভাবে ওর ব্যাটিং অগোছালো, কিন্তু এর পেছনে আছে এক তীক্ষ্ণ ক্রিকেট মস্তিষ্ক।” হেডিংলিতে পান্ত যেন তার ব্যাট দিয়ে সেই কথারই সাক্ষর রাখলেন।
তবে রোমাঞ্চ এখানেই শেষ নয়। চা-বিরতির পর হঠাৎ করেই ভারতীয় ইনিংস ভেঙে পড়ে। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ৬টি উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। ইংল্যান্ডের পেসার জশ টাং এক ওভারেই ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন ইংল্যান্ডকে। শেষ পর্যন্ত ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে থেমে যায় ৩৬৪ রানে।
এরপর ইংল্যান্ড শুরু করে তাদের রান তাড়া। দিন শেষে তারা করে ২১ রান বিনা উইকেটে। এখন শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন আরও ৩৫০ রান, আর ভারতের চাই ১০টি উইকেট—এক উত্তেজনাকর সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে এই হেডিংলি টেস্ট।
পান্তের ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিতে ইতিহাস গড়ল ভারত, হেডিংলিতে চতুর্থ দিনে রোমাঞ্চের ছোঁয়া
২০২৫ সালের ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টে হেডিংলির চতুর্থ দিনটি রীতিমতো ভারতের জন্য এক রোমাঞ্চকর অধ্যায় হয়ে উঠল। সেই দিনের মূল নায়ক—ঋষভ পান্ত। উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে তিনি যা করে দেখালেন, তা শুধু পরিসংখ্যান নয়, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানের সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও থামেননি পান্ত। এদিন তিনি খেলেন ১১৮ রানের এক অনবদ্য ইনিংস, মাত্র ১৪০ বলে ১৫টি চারে ও ৩টি ছয়ের মারে। এই ইনিংসের মাধ্যমে পান্ত হয়ে গেলেন ভারতের ইতিহাসে প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটার, যিনি একই টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে কেবল জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারই এমন কীর্তি গড়েছিলেন, ২০০১ সালে।
চতুর্থ দিন ভারত শুরু করেছিল ৯০/২ স্কোর নিয়ে। সেখান থেকেই কেএল রাহুল ও ঋষভ পান্ত মিলে গড়েন ১৯৫ রানের এক দুর্দান্ত জুটি। রাহুলও খেলেন অনবদ্য ১৩৭ রানের ইনিংস। এই পার্টনারশিপের উপর ভর করেই ভারত ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড় করায় ৩৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য।
পান্তের ব্যাটিং শুধু শটের ঝলকে নয়, ছিল সাহসিকতা, কৌশল এবং ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের নিখুঁত প্রদর্শনী। সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী একসময় বলেছিলেন, “লোকজন ভাবে ওর ব্যাটিং অগোছালো, কিন্তু এর পেছনে আছে এক তীক্ষ্ণ ক্রিকেট মস্তিষ্ক।” হেডিংলিতে পান্ত যেন তার ব্যাট দিয়ে সেই কথারই সাক্ষর রাখলেন।
তবে রোমাঞ্চ এখানেই শেষ নয়। চা-বিরতির পর হঠাৎ করেই ভারতীয় ইনিংস ভেঙে পড়ে। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ৬টি উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। ইংল্যান্ডের পেসার জশ টাং এক ওভারেই ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন ইংল্যান্ডকে। শেষ পর্যন্ত ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে থেমে যায় ৩৬৪ রানে।
এরপর ইংল্যান্ড শুরু করে তাদের রান তাড়া। দিন শেষে তারা করে ২১ রান বিনা উইকেটে। এখন শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন আরও ৩৫০ রান, আর ভারতের চাই ১০টি উইকেট—এক উত্তেজনাকর সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে এই হেডিংলি টেস্ট।